সুফি সাধক
(১৮৫৪-১৯২২)
এক ঝলকে তাঁর জীবনের
হাছন রাজা (১৮৫৪-১৯২২) ছিলেন একজন জমিদার (জমিদার) যিনি তপস্যা এবং রহস্যময় কবিতার জীবনযাপনে মনোনিবেশ করেছিলেন। দর্শন এবং আধ্যাত্মিক অন্তর্দৃষ্টি সমৃদ্ধ তাঁর গানগুলি মানব আবেগের গভীরতা, ঈশ্বরের প্রকৃতি এবং ক্ষণস্থায়ী জগৎকে অন্বেষণ করে। তিনি বাঙালি সংস্কৃতিতে একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়ে গেছেন, লোকসঙ্গীত এবং সাহিত্যে তাঁর গভীর প্রভাবের জন্য তিনি প্রশংসিত।
বিলাসবহুল জীবন থেকে ঐশ্বরিক সত্যের সন্ধানে, তার যাত্রা রূপান্তরের এক আকর্ষণীয় গল্প।
ডাঃ জহিরুল ইসলাম (অচিনপুরী)
সভাপতি
হাছনরাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ,কেন্দ্রীয় শাখা।
সভাপতির কিছু কথা
বাংলার লোকসংগীত, পল্লীগীতি এবং মরমি কাব্য আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও শিকড়ের অমুল্য অংশ। এই ঐতিহ্য কেবল আনন্দের নয়, বরং আমাদের জীবনের জ্ঞান, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের এক অমোঘ দিশারি। হাছনরাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ সেই ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ, প্রচার এবং বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
হাছন রাজার সৃষ্টিশীলতা, গান ও দর্শন আমাদের শিক্ষা দেয় যে সঙ্গীত কেবল শিল্প নয়, এটি মানবজীবনের এক গভীর অনুভূতি, যা সমাজকে মর্মস্পর্শী ও নান্দনিকভাবে সমৃদ্ধ করে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো তাঁর ভাবধারা ও দর্শনকে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া, যাতে তারা নিজেদের জীবন ও সংস্কৃতির সঙ্গে এক গভীর সম্পর্ক অনুভব করতে পারে।
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা ভাগাভাগি করছি হাছন রাজার গান, তাঁর মর্মস্পর্শী সুর, কবিতা ও ভাবধারা, সেইসাথে বাংলার লোকসংগীতের অসাধারণ ঐতিহ্য। আমরা চাই, প্রতিটি মানুষ—দেশের হোক বা বিদেশে বসবাসরত—এই সুর ও সৃষ্টির সৌন্দর্য অনুভব করুক, এবং নিজেদের জীবনকে আরও মানবিক ও শিক্ষণীয়ভাবে গড়ে তুলুক।
আমরা আশা করি, এই ওয়েবসাইটের প্রতিটি পাতা, প্রতিটি গান এবং প্রতিটি কাব্য পাঠক ও দর্শকের মনে বাংলার লোকসংগীতের এক নতুন আলোর ঝলক নিয়ে আসবে। আমাদের লক্ষ্য, হাছন রাজার সৃষ্টি ও বাংলার লোকসংগীতের এই যাত্রা সকলের হৃদয়ে গভীর ছাপ রেখে যাবে, এবং আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ ও চিরস্থায়ী করবে।
মোঃ সোলেমান হোসেন চুন্নু
প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক
হাছনরাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ,কেন্দ্রীয় শাখা।
সাধারন সম্পাদকের কিছু কথা
বাংলার মরমি সংগীত, লোকগীতি ও পল্লীগীতির অসীম সৌন্দর্য এবং গভীর ভাবনাকে সংরক্ষণ ও বিশ্বের সামনে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। হাছনরাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ সেই লক্ষ্যকে প্রতিনিয়ত সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি হাছন রাজার দর্শন, তাঁর গানের সুর ও ভাবধারা, এবং বাংলার লোকসংগীতের অমূল্য ঐতিহ্য। আমরা চাই যে, দেশের প্রতিটি মানুষ, এমনকি বিদেশে বসবাসরত আমাদের প্রজন্মও, হাছন রাজার গান ও চিন্তাধারার আলোকে অনুপ্রাণিত হোক।
আমাদের আশা ও প্রতিশ্রুতি হলো—বাংলার লোকসংগীত ও সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় আমরা অবিরত সচেষ্ট থাকব, এবং এই ঐতিহ্যকে বিশ্বের সঙ্গে ভাগাভাগি করে মানুষের জীবন আরও সমৃদ্ধ করে তুলব।
হাসন রাজার গান

হাসন রাজা প্রেমানলে জ্বলে
হাসন রাজা প্রেমানলে জ্বলে প্রাণপ্রেয়সী মোরে, তুলিয়া লও কোলে ॥ বাসনা করিয়া হার, গাঁথিয়াছি ফুলে। কোলে লইলে হার পরাইব, তুই প্রেয়সীর গলে ॥ এই মনে করিয়ে হাসন রাজায় তাল বাজায়।

খোদা মিলে প্রেমিক হইলে
খোদা মিলে প্রেমিক হইলে। পাবে না পাবে না খোদা নমাজ রোজা কইলে ॥ খোদা যদি ধরতে চাও, তার সঙ্গে পিরিত বাড়াও। মিলিবে মিলিবে খোদা প্রেমে তাঁর মজিলে ॥ মিলিবে না

অপ্রেমিকে গান আমার শুনবে না
আমি করি রে মানা, কিরা দেই কসম দেই আমার বই হাতে নিবে না ॥ বারে বারে করি মানা বই আমার পড়বে না। প্রেমের প্রেমিক যেই জনা, এ সংসারে হবে না
অন্যান্য মরমী সাধক গণ

বাউল খোয়াজ মিয়া
ছিলেন বাংলাদেশের লোকসংগীত জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র, যিনি তার মরমি ও আধ্যাত্মিক গানের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তার জীবন ছিল সাধনা, সংগ্রাম এবং স্রষ্টাপ্রেমের এক

ফকির দুর্বিন শাহের জীবন দর্শন
ফকির দুর্বিন শাহের জীবন দর্শন, সঙ্গীত, এবং সাধনার গভীরতা বিশাল। তাঁর জীবনীকে আরও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে, আমরা তাঁর জীবনের বিভিন্ন অধ্যায়, বিশেষ করে তাঁর সঙ্গীতের দার্শনিক ভিত্তি এবং তাঁর প্রভাব

শাহ আব্দুল করিম (১৯১৬-২০০৯)
শাহ আব্দুল করিম (১৯১৬-২০০৯), যিনি “বাউল সম্রাট” এবং “ভাটির বাউল” নামে বাংলার লোকসঙ্গীত জগতে অমর হয়ে আছেন, ছিলেন একজন কালজয়ী বাংলাদেশী বাউল সাধক, গীতিকার, সুরকার এবং জীবন দর্শনের এক মহান
নিউজ এন্ড ইভেন্টস

হাছন রাজার জন্মভূমি রামপাশায় প্রথমবারের মতো ‘হাছন রাজা স্মরণোৎসব
মরমি কবি ও সংগীতসাধক হাছন রাজার নিজ জন্মভূমি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা গ্রামে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘ ’।‘হাছন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ স্মরণোৎসবকে ঘিরে

হাছন রাজা লোক সাহিত্য ও সংস্কৃতির পরিষদ এর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত
হাছন রাজা লোক সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ এর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত, ডাক্তার জহিরুল ইসলাম অচিনপুরীকে সভাপতি ও মসোলেমান হোসেন চুন্নুকে সাধারণ সম্পাদক ও দেলোয়ার হোসেন শিপলু

বাউল সাধকদের স্মরণে হাছনরাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের গৌরবময় কর্মসূচি সম্পন্ন
আজ হাছনরাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক ও মানবিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দক্ষিণ ছাতক ও সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত এসব কর্মসূচি স্থানীয় লোকসংগীতপ্রেমীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
একটি স্থায়ী উত্তরাধিকার
হাসন রাজার প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিস্তৃত। তাঁর সঙ্গীত বাঙালি লোকসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং তাঁর কবিতা তার দার্শনিক গভীরতা এবং সর্বজনীন আবেদনের জন্য এখনও অধ্যয়ন ও শ্রদ্ধার সাথে পড়ানো হচ্ছে।